ঢাকা, সোমবার, ৭ জুন ২০২১ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮

সহজ জয়ে সিরিজ জেতার পথে বাংলাদেশ

📝 অনলাইন ডেস্ক
🕐 ২০২৪-০৫-০৫ ২৩:৪৮:৫৬

সহজ জয়ে সিরিজ জেতার পথে বাংলাদেশ

দেড়শ রানের চেয়েও কম তাড়া করতে গিয়ে বেশ ভুগেছে বাংলাদেশ। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিং ভালো হয়নি। তবে শেষদিকে তাওহিদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটির কল্যাণে এ যাত্রায় জয়ের বন্দরে নোঙর করতে পেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। রোববার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ৩ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে একদমই লড়াই করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে খানিকটা চাপে রাখতে পেরেছে সফরকারীরা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং ঝড়ে অবশ্য শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকতে পারেনি সিকান্দার রাজার দল।
১৩৯ রানের লক্ষ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯ বল হাতে রেখেই পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। হৃদয় ২৫ বলে ৩৭ ও মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তার আগে জাকের আলী ১২ বলে ১৩ রান করে ফেরেন। হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪৯ রান যোগ করে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের জয়।
শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। ওপেনিং জুটি ভাঙে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে। দলীয় ৪১ রানের মাথায় ১৯ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচে ফিফটি পাওয়া তানজিদ হাসান তামিম। দশম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত (১৫ বলে ১৬) ও লিটন দাস (২৫ বলে ২৩) ফিরলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে কয়েক দফা খেলা বন্ধ হয়।
রান রেটে পিছিয়ে পড়ায় শঙ্কা বাড়ে ডাক ওয়ার্থ ও লুইস মেথডে হেরে যাওয়ার। সর্বশেষ যখন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয় তখন ১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে মোটে ৬২ রান। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখিয়ে জয়ের পথ সহজ করে নেয় টাইগার ব্যাটাররা।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের শুরুটা যেন আগের ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তি। এবার ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ে একশর গণ্ডি পেরোয় জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান ব্যানেটের প্রতিরোধে। জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথন আন্তর্জাতিক অভিষেকে ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। তারপরও অবশ্য বাংলাদেশের লক্ষ্যটা ছিল নাগালেই। সফরকারীরা ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান তোলে। আগের ম্যাচে ৪১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও ১২৪ রান তুলেছিল তারা। সে পথ আরো একবার অনুসরণ করল দলটি। ব্যানেটের অপরাজিত ২৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংসের সুবাদে মাঝারি সংগ্রহ পায় সিকান্দার রাজার দল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং শুরু করে জিম্বাবুয়ে। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার থেকে সংগ্রহ করে মাত্র ২২ রান। হারায় একটি উইকেট। রিশাদ হোসেন নিজের প্রথম ওভারে জোড়া শিকারের দেখা পান। এরপর ধুঁকতে থাকা দলটি ৪২ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। সেখান থেকে জোনাথন ও ব্যানেটের ৭৩ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে জিম্বাবুয়ে। দলীয় সংগ্রহ চলে যায় দেড়শর কাছে। রিশাদ ছাড়াও দুটি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৮.৩ ওভার ১৪২/৪ (লিটন ২৩, তানজিদ ১৮, শান্ত ১৬, তাওহিদ ৩৭, জাকের ১৩, মাহমুদউল্লাহ ২২; এনগাভারা ১/৩২, মুজারাবানি ০/১৯, এনডলোভু ১/২৫, রাজা ০/৩১, জংবি ২/৩৫)।
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভার ১৩৮/৭ (গুম্বি ১৭, মুরামানি ২, আরভিন ১৩, রাজা ৩, মাদান্দে ০, বেনেট ৪৪*, ক্যাম্পবেল ৪৫, জংবি ২, এনডলোভু ৫; শরিফুল ১/২৬, মেহেদী ১/১৮, তাসকিন ২/১৮, সাইফউদ্দিন ১/৩৭, রিশাদ ২/৩৩)।
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।